সংবাদ শিরোনামঃ
বাংলাদেশে গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে মোংলায় এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসুচি পালন হয়েছে 

বাংলাদেশে গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে মোংলায় এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসুচি পালন হয়েছে 

রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ

জীবাশ্ম জ্বালানি, বিশেষত প্রাকৃতিক গ্যাস ও এলএনজির প্রকল্পের সম্প্রসারণ এবং অর্থায়নের বিরোধিতা করে মোংলায় এক নৌ র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ৮ টায় এশিয়া ডে অফ এ্যাকশন কর্মসূচীর অংশ হিসাবে পশুর নদীতে নৌ র‍্যালি করা হয়। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, এপিএমডিডি ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার’র আয়োজনে এ কর্মসূচীর মধ্যে আরো ছিল, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচি।

সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত বোট র‍্যালি শেষে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচিতে পশুর রিভার ওয়াটারকিপার, পরিবেশযোদ্ধা মো. নূর আলম শেখের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র নাজমুল হক, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র হাছিব সরদার, মার্টিন সরকার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার মেহেদী হাসান বাবু, মাহারুফ বিল্লাহ, শাহীন খলিফা, মেহেদী, সোহেল, হৃদি সরকার, প্রদীপ সরকার প্রমূখ। বোট র‍্যালি ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পরিবেশের ক্ষতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে, চরম আবহাওয়া এবং জীববৈচিত্র্য ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশকে একটি ন্যায্য, টেকসই, এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভিত্তিতে উন্নতির দিকে ধাবিত করার দাবি করছি। পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এর পরিবেশযোদ্ধা মো. নূর আলম শেখ বলেন, পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ওপর গ্যাস ও এলএনজির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে। সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং নীতিনির্ধারকদের জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পের সম্প্রসারণ বন্ধ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানাই। গ্যাসের পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। তিনি আরো বলেন, জলাশয়, বাস্তুতন্ত্র এবং উপকূলের ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে পশুর নদীতে এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসুচি পালন করছি। পরিবেশকর্মী মার্টিন সরকার বলেন জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর প্রভাব বিশেষত এলএনজি টার্মিনাল ও গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকার মানুষের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

পশুর নদীতে বোট র‍্যালি, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচিতে অংশগ্রহণকারীরা “গ্যাস সম্প্রসারণ বন্ধ কর” “প্রাকৃতিক গ্যাস এবং এলএনজি প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ কর” “গ্যাস নয়, সমাধান হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি” “জীবাশ্ম জ্বালানির দ্রুত, ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত ফেজ-আউট চাই” “কয়লা থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর চাই”

“জীবাশ্ম গ্যাস পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর” “জীবাশ্ম গ্যাস মানুষের জন্য বিষাক্ত” “জীবাশ্ম গ্যাস একটি ব্যয়বহুল জ্বালানি” “গ্যাসের বিকল্প আছে” “প্রাচ্যের দেশগুলোতে গ্যাস সম্প্রসারণ করা চলবে না” সম্বলিত প্লাকার্ড -ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড